একটা শিশুর বিকাশে মা-বাবার ভূমিকা খুবই খু-ব-ই গুরুত্বপূর্ণ । মা-বাবাই পারে শুধুমাত্র একটা শিশুকে নিরাপদ এবং নির্ভয় শৈশব উপহার দিতে। অনেকেই তাদের পারিপার্শিক অবস্তার দোহাই দিয়ে বলেন যে, বাচ্চাকে রাখার কেউ নেই, একা ঘর-দোর সামলিয়ে...... তার উপর আবার বাচ্চার দুষ্টুমি , একদম নিতে পারি না, তাই বাচ্চাকে মারি । কিন্তুেএটা মোটেও কোনো সমাধান হতে পারে না।
একটা বাচ্চাই তো করবে দুষ্টুমি, সে সারাক্ষণ করবে দৌড়াদৌড়ি-লাফালাফি, এগুলো তাকেই মানায়, আপনাকে-আমাকে নয়। সে তার মতো করে উপভোগ করবে তাঁর জীবনের এই সুন্দর সকাল। এজন্য প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত তার সন্তানকে একটি সুন্দর শৈশব উপহার দেয়া।
আপনার বাচ্চাকে আপনি যদি সুন্দর শৈশব উপহার দিতে চান, বাচ্চার কাছে যদি সুন্দর মেজাজ আশা করেন ,যদি চান আপনার বাচ্চা আপনাকে ভালোবাসবে, আপনার কথা শুনবে ইত্যাদি ইত্যাদি....... তাহলে অবশ্যই আপনার বাচ্চাকে আপনার বন্ধু ভাবতে হবে। ওর সাথে আপনি খেলবেন, গল্প করবেন, ওর কথা আপনি ধৈয্য ধরে শুনবেন, ওকে পরামর্শ দিবেন। মোট কথা, আপনার বাচ্চাকে আপনি যদি বাচ্চা না ভেবে একজন বড় মানুষ মনে করেন, তবে বিষয়টা সহয হবে (কারণ একজন প্রাপ্ত বয়ষ্কের সাথে আপনি যেমন খুশি তেমন আচরণ করতে পারেন না, কারণ ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়)।
বাচ্চরা অনুকরণপ্রিয়, তারা যা দেখে তাই শিখে। বাচ্চাকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে(যা সবাই চায়) আগে অপনাকে বাচ্চার আদর্শ হতে হবে। বাচ্চা যেন আপনাকে কখনো মিথ্যা বলতে না দেখে। বাচ্চাদের সামনে কারো সমালোচনা করা যাবে না। পারিবারিক ঝামেলা, ঝগড়া -ঝাটি এসব এড়িয়ে চলতে হবে। বাচ্চাদের সামনে তো নয়ই।
প্রত্যেকটা বাচ্চার মেজাজ একই রকম হতে পারে না কখনোই, একেকটা বাচ্চার মেজাজ একেক রকম হয়। তাই মা-বাবাকে বাচ্চার মেজাজের ধরণ বুঝে আদর-শাসন করতে হবে। তবে শাসনটা কখনো আঘাত করে নয়। শাসন হবে আদর করে, ভালোবেসে।
আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, একটা বাচ্চা হলো আমাদের কাছে আল্লাহর দেওয়া আমানত, আমরা আল্লাহর এই আমানতের খেয়ানত করতে পারিনা কোনোভাবেই।
২৬-০৩-২০২৩